হযরত সৈয়দ আহমেদ (রঃ) ও তার অনুসারীরা
হযরত মুহম্মদ (দঃ) এর মৃত্যুর পর আরবদেশ থেকে আসা বিভিন্ন আধ্যাত্মিক
সাধক, সুফী, পীর, আউলিয়া, কামেলরা তাদের আধ্যাত্মিকতার নজীর দেখিয়ে
বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচার করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় হযরত সৈয়দ শাহ হাসান সৌদী আরবের পাশের দেশ
উত্তর ইয়েমেনের তাইজ প্রদেশ হতে দিল্লী আগমন করেন। তাহার পুত্র সৈয়দ
শাহ ইয়াহিয়া দিল্লী হতে বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে চলে আসেন। নবাব প্রদত্ত
লাখেরাজ ভূ-সম্পত্তি প্রাপ্ত হয়ে তিনি বর্ধমান এসে অবস্থান করেন।
তার পুত্র সৈয়দ শাহ ইসহাক। ১৭৫৭ খৃষ্টাব্দে বাংলার নবাব সিরাজ উদ দৌলার
সাথে পলাশীর মাঠে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর যুদ্ধ হয়। নবাব যুদ্ধে হেরে গেলে
কোম্পানী জয়লাভ করে। ইংরেজরা দেশ অধিকার করে প্রথমেই বাংলার মুসলমান
জমিদারগনের জমিদারী বাজেয়াপ্ত করেন। সৈয়দ শাহ ইসহাক সাহেবের মৃত্যুর
পর তার পুত্র হযরত সৈয়দ শাহ ইব্রাহিম (রঃ) পশ্চিম বঙ্গ হতে পূর্ববঙ্গে চলে
আসেন। প্রথমে পূর্ববঙ্গের ত্রিপুরা জেলা বর্তমান কুমিল্লা জেলায় কিছুদিন
অবস্থানের পর ময়মনসিংহ জেলার দক্ষিনে কিশোরগঞ্জ মহকুমায় আগমন করেন।
কিশোরগঞ্জ সদর হতে প্রায় ১০ মাইল দুরে পুর্বদিকে করিমগঞ্জ থানার কান্দাইল
গ্রামে তিনি এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিবাহ করেন। শ্বশুরালয়ে কিছুদিন অবস্থানের পর
হজ্জ্ব পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় চলে গেলেন। যাবার আগে সৈয়দ ইব্রাহিম (রঃ)
তার স্ত্রীকে বলে গেলেন, তোমার গর্ভজাত ছেলের নাম রাখিবে সৈয়দ আহমদ।
তার বয়স ১০/১২ বৎসর হলে ঢাকার আজিমপুর দায়রা শরীফের গদ্দীনশীন পীর
হযরত সৈয়দ শাহ লকিত উল্লাহ (রঃ) এর খেদমতেপাঠাইয়া দিবে। আমি হজ্জ্ব
সমাপন শেষে জীবিত থাকিলে চলে আসব। কিন্তু তিনি মক্কাতেই ইন্তেকাল
করেন।
হযরত সৈয়দ আহমেদ (রঃ) ১০ বৎসর বয়সে পদার্পন করলে তার মা ঢাকায়
আজিমপুর দায়রা শরীফে পাঠিয়ে দিলেন। হযরত সৈয়দ শাহ লকিতুল্লাহ (রঃ)
এর খেদমতে একাধারে ২৪ বৎসর অবস্থানের পর খেলাফতপ্রাপ্ত হয়ে পীর
কেবলার আদেশক্রমে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে বর্তমান চর শোলাকিয়া পদার্পন
করেন।মজনু পীর হযরত শাহ মন্নুন (রঃ) এর মাজার সংলগ্ন স্থানেহুজরা স্থাপন
করেএবাদত বন্দেগীতে মশগুল রহেন।
স্থানীয় লোকমুখে হযরত সৈয়দ আহমেদ (রঃ) এর শোলাকিয়া পদার্পনের নি¤œরূপ
ইতিহাস পাওয়া যায়।
বর্তমান চর শোলাকিয়া সাহেব বাড়ি এলাকার পূর্ব নাম ছিল রাজাবাড়িয়া।জনাব
সৈয়দ আহমেদ সাহেব কিশোরগঞ্জে আসার পর বর্তমান কোর্ট শোলাকিয়ার এক
২৬
মুসলিম ভূঞা পরিবারের বাড়িতে উঠেন। তথাকার লোকজনকে তাকে রাজা
বাড়িয়াতে নিয়ে যাবার জন্য সহযোগিতা করতে তিনি বলেন। কিন্তু সেই সময়ে
এই কোচ রাজারবাড়ি রাজাবাড়িয়া ছিল গভীর জঙ্গলে। সেখানে হিং¯্র জন্তু
বসবাস করত। তার কথায় ভূঞা বাড়ির লোকজন আরও লোক সাথে করে দা,
লাঠি, বল্লম ইত্যাদি আত্মরক্ষামুলক অস্ত্র নিয়ে জঙ্গল কেটেরাস্তা তৈরী করে
অগ্রসর হতে লাগলেন।
হঠাৎ তিনিআর আগাতে মানা করলেন। তিনি পীরের নির্দেশনা অনুযায়ী গোলাপী
পাঁচ পাপড়ি যুক্ত ঘাসফুল দ্বারা বেষ্টিত একখানা কবর দেখতে পেয়ে সবাইকে তা
বললেন যে, এখানেই ধড় শহীদের মাজার। তার আসার কারন এই কবরের দেখা
শুনা করা। তিনি নামাজ দ্বারা আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করলেন এবং
পাশেই হুজরাখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। সফরসঙ্গীরা শুনে অবাক যে, এই
গভীর জঙ্গলে তিনি কিভাবে বসবাস করবেন। পরিশেষে তারা গাছের পাতা ও
বাঁশ দিয়ে একটি কুড়ে ঘর তৈরী করে দেন। ছোট মাটির পাত্রে তৈল দিয়ে বাতি
জ্বালিয়ে দিয়ে অনিচ্ছাসত্বেওতারা বাড়িতে চলে যান। ঐ রাতে প্রবল বৃষ্টিসহ ঝড়
হয়। এতে লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, লোকটি নিশ্চয়ই বাঘের মুখে
পরেছেন। পরদিন সকালে সবাই এসে দেখেন যে, হযরত সৈয়দ আহমেদ (রঃ)
সোলেমানী তসবিহ পড়ছেন এবং পাশে বাতিটিও জ্বলছে। এই দৃশ্যে সবাই উনার
উপর অন্যরকম সম্মান স্থাপন করেন।সবাই উনার মুরীদ হবার জন্যে প্রার্থনা
করলে তিনি রাজী হন।বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কেরামতির কথা চর্তুদিকে ছড়ালে
লোকজন দলে দলে তার শিষ্যত্ব গ্রহন করেন এবং অত্র এলাকা আবাদ হয়।
এই সময় ঈশাখাঁর বংশধরগন জঙ্গলবাড়ি, কিশোরগঞ্জের হয়বত নগরে জমিদারী
করছিলেন। শহীদ হযরত শাহ মন্নুন (রঃ) এর মাজার সহ চতুস্পার্শ্বের জমির
মালিক ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার সেকান্দর নগর এলাকার
জমিদার। এই এলাকাটি ৩২৫১ নং তালুকের রামজীবন ধুপীর কিছু অংশ। সৈয়দ
আহমেদ সাহেবকে মাজারে চেরাগ জ্বালাবার জন্যে চেরাগী ভুমি হিসেবে জমিদার
তাকে দান করেন।
তিনি এখানেবসবাসের জন্য একটি পাকাবাড়ি, পাকা গোসলখানা তৈরী করেন
এবং কান্দাইল হতে তার মাকে নিয়ে আসেন। বাড়িতে একটি বিশাল জুমা
মসজিদ স্থাপন করেন। এতদ অঞ্চলে সর্বপ্রথম জুমার নামাজ এই মসজিদেই
সম্পন্ন হয়। কথিত আছে, পাশ্ববর্তী থানার লোকজন এখানে শুক্রবার নামাজ
আদায় করতেন।কিছুদিন পর বাড়ির সামনে ঈদের জামাতের জন্য নিজ সম্পত্তির
কিছু অংশ দিয়ে ঈদগাহ তৈরী করেন। তিনিই প্রথম ইমামতি করে মাঠের উদ্বোধন
করলেন। মাঠের ভবিষ্যত উন্নতির জন্যে দোয়া করেন। বর্তমানে এই মাঠ
এশিয়ার বৃহত্তম ঈদগাহ মাঠ।
সৈয়দ আহমেদ সাহেবের হুজরাখানার নিকটে মাজারের বাম দিকে একটি পুকুর
ছিল। যাকে পানিপড়াবা উতারের পুকুর বলা হতো। কথিত আছে, জনৈক ব্যক্তি
২৭
রোগমুক্তির জন্য সৈয়দ আহমেদ সাহেবের নিকট একটি পাত্রে পানি এনেছিলেন
ফুঁ নিবার জন্য। তিনি অন্যজনের সাথে কথা বলতেছিলেন এমন সময় লোকটি
পাত্রটি তার সামনে ধরল ফুঁ নিতে। তিনি বললেন যাও। এই বলে তিনি আবার
কথা বলা শুরু করলেন। সৈয়দ আহমেদ সাহেব ফুঁ দেবার পর পাত্রটি ভেঙ্গে
গেল। লোকটি তার বেয়াদবি বুঝতে পেরে ক্ষমা চাইল। এর পর থেকে তিনি
পানি পড়া নিতে এই পুকুরটিকে নির্বাচন করলেন।
কথিত আছে, ঈদের নামাজ পড়ার ইমামতির জন্যে জমিদার ও মুরীদগন উনাকে
অনুরোধ করেন। তার পীরের হুকুম ছিল বাড়ি থেকে বের হলে হজ্জ্ব না করে ফেরা
যাবে না। সবার অনুরোধে তিনি দুই ছেলে সৈয়দ আফছর আলী ও সৈয়দ
আনছফআলীসহ ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হন। নামাজ শুরুর আগে ঘোষনা দিলেন
যে, আরো তিনজন মুসুল্লী আসার পর নামাজ শুরু হবে।ঠিক সময় মাঠের তিন
দিক থেকে তিন জন বুজুর্গ এসে নামাজে দাঁড়ালেন। উপস্থিত সবাই তা প্রত্যক্ষ
করেন। নামাজ শেষে মাঠে তিনদিন অবস্থান করেন। চতুর্থ দিনে দুই ছেলে ও
কয়েকজন মুরীদসহ হজ্জ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গোয়ালন্দ পর্যন্ত নৌকায় গিয়ে
ট্রেনে বোম্বে পৌছান। আবার জাহাজে জেদ্দা পৌছে মক্কা চলে যান। হজ্জ্বের
তিনদিনপূর্বে তিনি ইন্তিকাল করেন। হজ্জ্ব পালন শেষে তার দুই ছেলে মুরীদসহ
দেশে চলে আসেন। হযরত নগরের জমিদার ঈদগা মাঠের সামনে পিছনে জমি
দান করে মাঠটিকে বর্তমান আকারে নিয়ে আসেন।
সৈয়দ আহমদ সাহেবের ছিল ২ ছেলে ও ১ মেয়ে।
১। সৈয়দ আফছর আলী
২। সৈয়দ আনছফ আলী
৩। ১ কন্যা-সৈয়দ নজরুল ইসলাম (অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি) এর বড় মা
সৈয়দ আফছর আলী সাহেবের দুই পক্ষে ছিল ১ ছেলে ২ মেয়ে
১মপক্ষ থেকে
১। সৈয়দ আলী আহমেদ
২। ১ কন্যা
২য়পক্ষ থেকে
১। ১ কন্যা-(নান্দাইল বাহাদুরপুর)
সৈয়দ আফছর আলী সাহেব সিলেট জেলার বানিয়াচঙ্গ পরগনার জমিদার দেওয়ান
আজমান রাজার কন্যাকে বিবাহ করেন। তার পুত্র সৈয়দ আলী আহমদ নিকলী
থানার ধারিশ্যর গ্রামের সৈয়দ শাহ মোঃ হাশেম সাহেবের মেয়েকে বিবাহ করেন।
২৮
তার কন্যার গফরগাঁও থানার সতরবাড়ি গ্রামে তালুকদার সরদার মোঃ সেকান্দর
আলী সাহেবের সাথে বিয়ে হয়।
তাদের পুত্রের অকাল মৃত্যু হয়। কন্যা রাবেয়ার সাথে বাজিতপুর নিবাসী
পূর্বপাকিস্থানের গভর্নর এডভোকেট আব্দুল মোনায়েম খানের বিয়ে হয়।
সৈয়দ আলী আহমদ সাহেবের ছিল ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে।
১। সৈয়দ আলী আকবর (হীরা মিয়া)
২। সৈয়দ আলী আজগর (মানিক মিয়া)
৩। সৈয়দ আলী বাকার (দাউদ মিয়া)
৪।১ম কন্যা
৫। ২য় কন্যা
সৈয়দ আলী আসগর সাহেব ১৯৪২ সনের ২০ শে অক্টোবর কিশোরগঞ্জ সদর
শহরে পুরান থানার হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময় তিনি মসজিদে নামাজরত অবস্থায়
শহীদ হন। এতে উক্ত মসজিদের নাম রাখা হয় শহীদী মসজিদ।
সৈয়দ আলী বাকার এলাকার কমিশনার, মুসলিমলীগ ও ধার্মিক পীর ছিলেন।
বড় মেয়ের বিয়ে হয় হয়বত নগর সাহেব বাড়ির পাশে সৈয়দ ফজলুল বারী
সাহেবের সাথে।
দ্বিতীয় মেয়ের বিয়ে হয় কেন্দুয়া থানার বানাইল গ্রামে ও পরে বাট্টা গ্রামে।
সৈয়দ আনছফ আলী সাহেবের স্ত্রীর নাম রৌশন আরা খাতুন। সৈয়দ আনছফ
আলী সাহেবের ছিল ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে।
১। সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ (মলাই মিয়া)
২। সৈয়দ আহমেদ হোসেন (নিঃসন্তান)
৩। সৈয়দ আব্দুল হেলিম (নিঃসন্তান)
৪। ১ম কন্যা
৫। ২য় কন্যা
৬। ৩য় কন্যা
সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ কোলকাতা থেকে মেট্রিক পাশ করে ওখানে তার দুলাভাই
কাজী মোহাম্মদ সাবেরেরসাবানের ফ্যাক্টরী দেখাশুনা করতেন। দেশে এসে পর
পর তিন বার হজ্জ্ব করেন। তারপর পীর মুরিদি শুরু করেন। তিনি চারটি বিয়ে
করেন। ১মপক্ষ কিশোরগঞ্জ জেলার যশোদলপুর ইউনিয়নে বীর দামপাড়ায়
বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাহেবের আপন
ফুফাতো বোন। তাদের একমাত্র পুত্র সৈয়দ আহমেদ (মাখন মিয়া) সাহেব। তিনি
কিশোরগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় তৎকালীন রামানন্দ হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
পরবর্তীতে জামেয়া ইমদাদিয়ায় পড়াশুনা করেন।১৯৭৬ সনে তিনি আবুধাবীতে
চাকুরীরত ছিলেন। সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ১মপক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুরপর তাড়াইল থানার
দরি জাহাঙ্গীরপুর গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র কন্যা সৈয়দা
মাকসুদাখাতুন। ২য় পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর নীলগঞ্জ রোডে শোলমাড়া এলাকায়
বাক্সবিলায় বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র কন্যা সৈয়দা জোবায়দা খাতুন। ৩য়
পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর নীলগঞ্জ থানার ছাগলতোপা গ্রামে দুর্গা গ্রামে এক বিধবা
মহিলাকে বিয়ে করেন। মুসলমান হবার পর নাম রাখা হয় হাসিনা বানু।
তার কবর ধড় শহীদের মাজারের বাম পাশে সংরক্ষিত আছে।তিনি নিঃসন্তান
ছিলেন।
সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ সাহেবের প্রথম বোনের বিয়ে হয় করিমগঞ্জ থানার সিন্দা
করাতী গ্রামে সাহেব বাড়িতে। উনার পুত্র সৈয়দ হামিদুর রহমান গেদু মিয়া
সেনাবাহিনীতে ছিলেন। পরবর্তীতে পীর মুরিদী করেন।উনার দুই মেয়েহুদু এবং
বুড়ির বিয়ে পার্শ্ববর্তী করনশী গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে একই বাড়িতে হয়।
সৈয়দ আব্দুল কুদ্দুছ সাহেবের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বোনের বিয়ে হয় বাজিতপুর থানার
হিলচিয়া ইউনিয়নের মইতপুর গ্রামের কাজি বাড়িতে।
দ্বিতীয় বোন সৈয়দা ফাতেমার বিয়ে হয় কাজী মোঃ জাবেরের নিকট। তৃতীয় বোন
সৈয়দা হাজেরার বিয়ে হয় কাজী মোঃ নাজিরের সাথে।
মঈতপুর কাজী বাড়ির বংশানুক্রমটি নি¤œরূপকাজী মোঃকাজিম সাহেবের ৫ ছেলে।
১।কাজী মোঃ সাবের
২। কাজী মোঃ নাজির
৩। কাজী মোঃ জাবের
৪। কাজী মোঃ করিম
৫। কাজী মোঃ বাসির
কাজী মোঃ জাবের সাহেবের ২ ছেলে ৩ মেয়ে
১। কাজী আবু তাহের
২। কাজী আশরাফ
৩। কাজী রহিমা খাতুন(বিশিষ্ট শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম সাহেবের মা)
৪। কাজী জোবেদা খাতুন
৫। কাজী মুরশিদা খাতুন
কাজী মোঃ সাবের সাহেবের ১ ছেলে
১। কাজী নুর মিয়া
কাজী আবু তাহের সাহেবের ২ ছেলে ৩ মেয়ে
১।কাজী আজিজুল ইসলাম (হিরন)
২।কাজী হারুন অর রশীদ (হারুন)
৩। কাজী আনোয়ারা
৪। কাজী হাবিবা
৫। কাজী আফসানা
সৈয়দ আহমেদ মাখন মিয়া সাহেব কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল থানার
সেকান্দরনগর সাহেব বাড়িতে সৈয়দ উবায়দুল কবির (লাল সাহেব-গায়ের রং
লাল ছিল বিধায়) সাহেবের একমাত্র কন্যা সৈয়দা হুরেনা খাতুন মরিয়মকে বিবাহ
করেন। সৈয়দ উবায়দুল কবির সাহেব অত্র এলাকার তালুকদার ছিলেন। উনারা
মুলতঃ সিলেট থেকে তালুকদারী কিনে এই এলাকায় অবস্থান করেন।
উনাদের প্রথম পুরুষ সৈয়দ আব্দুল্লাহ। সিলেট শাহী ঈদগাহের নিকট মজুমদারী
আম্বরখানায় উনার নামে মহালে আব্দুল্লাহ সড়ক আছে।
সৈয়দ আব্দুল্লাহর ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ে
১। সৈয়দ আব্দুল কাহহার-উনার স্ত্রী বানিয়াচঙ্গের একলিমুর রাজার বোন।
২। সৈয়দ উবায়দুল কবির১ম স্ত্রী-সতর বাড়িতে। মোনায়েম খানের শ্বশুরবাড়ি
২য় স্ত্রী- কেন্দুয়া থানার আমলী তলায়
৩য় স্ত্রী- নান্দাইল থানার বাহাদুরপুর
৩। ৩য় পুত্র- ১ম ছেলে সৈয়দ হাবিবুর রহমান
২য় ছেলে সৈয়দ মজিবুর রহমান
৩য় ছেলে সৈয়দ মকিবুর রহমান
৪। ৪র্থ পুত্র- ১ম ছেলে- সৈয়দ আহমদ মিয়া
৫। ৫ম পুত্র- ১ম ছেলে- সৈয়দ জঙ্গু মিয়া
৬। ৬ষ্ঠ পুত্র- ১ম ছেলে -সৈয়দ কালা মিয়া (তিনি সিলেটেই থেকে যান)।
৭। ১ম কন্যা- কেন্দুয়া- সৈয়দ সাদেক সাহেবের মা
উনার স্বামী কাজী সাহেব ছিলেন।
৮।২য় কন্যা- সেকান্দরনগর নয়াবাড়ীতে ফরসুদ মিয়ার মা
৯।৩য় কন্যা- জঙ্গলবাড়িতে সৈয়দ তাহমিদ মিয়ার মা
সৈয়দা হুরেনা খাতুন মরিয়ম অত্যন্ত দানশীল, ধার্মিক মহিলা ছিলেন। তার
অসিয়ত অনুযায়ী মৃত্যুর (১০/৯/১৯৯৯ খৃষ্টাব্দ) পর সেকান্দরনগর মাজারের পার্শ্বে
কবরস্থ করা হয়।
সৈয়দ আহমদ মাখন মিয়ার মৃত্যুর (১৭/০১/২০১৪ খৃষ্টাব্দ) পর ধড় শহীদের
মাজারের পার্শ্বে কবরস্থ করা হয়।
সৈয়দ আহমেদ মাখন মিয়া সাহেবের ৪ ছেলে ৩ মেয়ে।
১। সৈয়দ দীন মোহাম্মদ (শরীফ)
২। সৈয়দ দীন মাহমুদ (তারিফ)
৩। সৈয়দ দীন মাহবুব (তড়িৎ)
৪। সৈয়দ তানজীন আহমেদ (তানজীন)
৫। সৈয়দা সফুরা খাতুন (মহল)
৬। সৈয়দা সুফিয়া খাতুন (দিদার)
৭। সৈয়দা মারজিয়া খাতুন (দীপ্তি)
সৈয়দ দীন মোহাম্মদ শরীফ
জন্ম-১৫ই জানুয়ারী, ১৯৬১।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
এস.এস.সি.- আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা বোর্ড
এইচ.এস.সি.- গুরুদয়াল কলেজ, ঢাকা বোর্ড
বি.এস.সি.-গুরুদয়াল কলেজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
এম.এস.সি.(প্রিল) -পরিসংখ্যান,চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
এল.এল.বি.-সেন্ট্রাল ল কলেজ, ঢাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
পেশাদারী ট্রেনিং-
ক্স কম্পিউটার বিষয়ক-উত্তর ইয়েমেনের সানা থেকে,- ১৯৮৬ সন
ক্স ফাইনানসিয়াল প্ল্যানিং- মোয়ার প্রদেশ, মালয়েশিয়া-মে, ২০০১ইং
ক্স ইনসুরেন্স মার্কেটিং- ভারতের কোম্পানী কে এম দস্তুর,- মে, ২০১৭ইং
ক্স শেয়ার ব্যবসা বিষয়ক- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে, - আগষ্ট ২০১৩ইং
কাজের অভিজ্ঞতা১। জানুয়ারী ১৯৮৩ থেকে নভেম্বর ১৯৮৪
একাউন্টেন্ট
আফতার অটোমোইলস লিঃ- ফৌজদারহাট, চট্টগ্রাম।
২। ডিসেম্বর ১৯৮৪ থেকে মার্চ ১৯৯৪
ম্যানেজার (একাউন্টস)
বেঙ্গল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিঃ, ইয়েমেন।
৩। এপ্রিল, ১৯৯৪ থেকে জুন,২০১১
ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার
ক্স আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিঃ
ক্স আফতাব জিপি হ্যাচারী লিঃ
ক্স আফতাব জিপি ফার্মস লিঃ
ক্স আফতাব হ্যাচারী লিঃ
ক্স আফতাব ফিসারিজ লিঃ
ক্স আফতাব এগ্রিকালচার লিঃ
ক্স আফতাব কারুপন্য লিঃ
ক্স আফতাব ফিড মিলস লিঃ
ক্স জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
ক্স জহুরুল ইসলাম নার্সেস ট্রেনিং ইনস্টিটিউট
৪। নভেম্বর ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১২
প্রোপ্রাইটর, নেক্সাস কুরিয়ার সার্ভিসেস
৫। জানুয়ারী ২০১৩-ডিসেম্বর২০১৪
হেড অব একাউন্টস ও এডমিন
দেশ বাংলা রিয়েল এ্যাস্টেট লিঃ
দেশ বাংলা কনসোর্টিয়াম লিঃ
৩৪
মাজফিকা হোল্ডিংস লিঃ
কুল এন্ড ক্লিনিং বস টেকনোলজি লিঃ
৬। জানুয়ারী ১৫-অদ্যাবধি
ভাইস প্রেসিডেন্ট, মার্কেটিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট
বাংলাদেশ জেনারেল ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ
বর্তমান ঠিকানা:
০২/১৭০৪, ইস্টার্ন উলানিয়া
০২, সেগুন বাগিচা, ঢাকা-১০০০।
বিবাহ
নান্দাইল থানা সদরে কাজী বাড়িতে কাজী উলফাতুল করিম সাহেবের ১ম কন্যা
কাজী মনিরা ইয়াসমিন লিজাকে ২৭/০৫/৯৪ ইং তারিখে বিবাহ করেন।
সন্তান
১। সৈয়দা মনিরা মেহনাজ ফাইজা
মালেক সিদ্দিকীওয়ালী-সি.এ.ফার্মে অধ্যয়নরত।
২। সৈয়দ হোসেইন মোঃ মাশরুর
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে অধ্যয়নরত।